দেশে একদিনে কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেল। গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২ হাজার ২৯ জন করোনা সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন। এটিই একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যা করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড, এর আগে ঈদুল ফিতরের দিন (২৫ মে) সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৭৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। আজকের দেয়া তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪০ হাজার ৩২১ জনে। একই সময়ে মহামারী ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে দেশে আরো ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫৯।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান। সাধারণত দৈনিক সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হিসাব হালনাগাদ করা হয়।
৪৯টি ল্যাবে পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ৯ হাজার ২৬৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয় ৯ হাজার ৩১০টি। এ নিয়ে এযাবৎ মোট নমুনা পরীক্ষা দাঁড়াল ২ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৬টিতে। নতুন একটি ল্যাব সংযোজিত হয়েছে, ল্যাবটি হলো সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৫০০ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ হাজার ৪২৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৯ শতাংশ।
যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ১৫ জনের মধ্যে ১১ পুরুষ এবং চারজন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ৭ জন এবং চট্টগ্রামের বিভাগের আটজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২১ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন একজন।
তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সসীমার মধ্যে দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের দুজন এবং নব্বই ঊর্ধ্ব একজন রয়েছেন।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৫৫ লাখের বেশি। আর মৃতের সংখ্যা তিন লক্ষাধিক। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়ে খুব দ্রুত।